নোটিশ :
hathazarinews.com ওয়েব সাইটে আপনাকে স্বাগতম...
সংবাদ শিরোনাম:
ফরহাদাবাদে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার কে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে: উপদেষ্টা ফারুক ই আজম হাটহাজারীতে আগুনে পুড়লো ৪ পরিবারের বসতঘর পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন হাটহাজারীতে বন্যা দূর্গতদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার  ফরহাদাবাদের বংশালে বন্যা কবলিত ভাইকে দেখতে গিয়ে বোনের মৃত্যু ফরহাদাবাদে মধ্যে রাতে বন্যার পানি ঘরে: মালামাল বের করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট যুবক নিহত হাটহাজারীতে নির্মাণাধীন ভবনে পড়েছিল ব্যবসায়ীর লাশ বীর মুক্তিযোদ্ধা এলএমজি মাহাবুর ইন্তেকাল  নরমাল ডেলিভারিতে ৮ নবজাতকের জন্ম হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রবিবার থেকেই হাটহাজারী মডেল থানার পুলিশি কার্যক্রম শুরু: ওসি মনিরুজ্জামান 
মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণরা পায়না আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর: কারা পেলো এ সব ঘর?

মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণরা পায়না আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর: কারা পেলো এ সব ঘর?

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা বর্ষণের কারণে হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উদালিয়া গ্রামের মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় পাহাড় ধসে পড়ে এক হতদরিদ্র দিনমজুরের বসতঘর ভেঙ্গে গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম উদালিয়া গ্রামের মনাই ত্রিপুরা পল্লী এলাকায় এ পাহাড় ধ্বসের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকাল থেকে টানা বৃষ্টি শুরু হলে রাত এগারটার দিকে ওই এলাকার মনাই ত্রিপুরা পল্লীর পাহাড়ের একটি অংশ ধ্বসে পড়ে হতদরিদ্র দিন মজুর নিকন্দ্র ত্রিপুরার বসত ঘরে পড়ে। এসময় তার ঘরের পাশে বেঁধে রাখা গবাদিপশু মাটি চাপা পড়ে আহত হয়। তবে সাথে সাথে মাটি সরিয়ে পশুগুলো উদ্ধার করতে পারায় সেগুলো প্রাণে বেঁচে যায়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত নিকন্দ্র ত্রিপুরা (৫৬) পেশায় একজন দিনমজুর। সে একটি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেছিলো। গত বেশ কয়েকবছর আগে পাহাড় ধ্বস থেকে রক্ষা করতে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিচে সমতল ভূমিতে সরকারিভাবে তৈরী করা ঘর দেয়ার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারনে এ হতদরিদ্র দিনমজুর নিকন্দ্র ত্রিপুরা ঘর পায়নি। যার কারনে স্ত্রী, ছয় সন্তান সহ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করে আসছিলেন তিনি। স্থানীয়রা সঠিকভাবে যাচাই বাছাই করে প্রকৃত ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরকারী ঘর বরাদ্ধ বা হস্তান্তর করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।তবে এ সব ঘর যারা নিতে চান তাদের কে টাকা দিতে হয়। শচীন নামে একজন আছেন তাকে যারা গোপনে টাকা দেয় তারাই নাকি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পায়। শুধু তা নয়, টাকা দিলেই হবে না আবার কাজও করতে হবে। তার জন্য কোন টাকা পাবে না।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় যতগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ হয়েছে তার মধ্যে যারা ঘর পেয়েছে তারা সবাইকে বিনা পরিশ্রমে কাজ করতে হয়েছে। তবে তাদের কে লেবার হিসাব দেখিয়ে টাকা নেন দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদ্বয়। সবকিছুর লেয়াজু করেন শচীন ত্রিপুরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র দিনমজুর অকিন্দ্র ত্রিপুরা জানান, গতবার সরকারী ঘর পাওয়ার তালিকায় আমার নামটি সবার আগে থাকলেও আমি সরকারী ঘর পাইনি। তাই এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঘরটি তৈরী করে নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে বসবাস করছিলাম। গতকাল রাতে পাহাড় ধ্বসে সেই ঘরটি প্রায় ভেঙ্গে গেছে। এখন স্ত্রী ও ৬ ছেলেমেয়ে নিয়ে আরেকজনের ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছি।

উদালিয়া মনাই ত্রিপুরা পল্লী ছাত্র কল্যান পরিষদের সভাপতি ফুলচাঁন এবং সম্পাদক নির্মল ত্রিপুরা জানান, গতকাল রাতে পাহাড় ধ্বসের কারনে মাটি চাপা পড়ে অকিন্দ্র ত্রিপুরার গৃহপালিত গরুর বাচুর, ছাগল আহত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ন বসবাসকারীদের নামের তালিকায় সবার আগে তার নাম থাকলেও রহস্যজনক কারনে তিনি সরকারি ঘর পাননি। আমরা প্রশাসনের নিকট দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত অকিন্দ্র ত্রিপুরা কে একটি ঘর ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান এর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বুধবার দুপুরের দিকে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অকিন্দ্র ত্রিপুরা কে খুব শীঘ্রই নতুন ঘর দেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে ভাগ করুন




সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত,© এই সাইডের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি
Desing & Developed BY ServerNeed.com